সম্পাদিকার কলম

মহান আল্লাহর সাহায্য আর মানুষের ভালোবাসাকে সম্বল করে “হাতিশালা আদর্শ শিশু বিকাশ কেন্দ্র” ৩২ বছরে পদার্পণ করল। আমরা সাধারণ মানুষ হলেও সমাজের প্রতি অনেকটাই দায়বদ্ধ। সেই দায়িত্ববোধ থেকেই প্রতিটি সন্তানকে দেশের সুনাগরিক এবং আদর্শ ও মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষে পরিণত করাই আমাদের লক্ষ্য।

বর্তমান দিনে চতুর্দিকে অগণিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাতার মত গজিয়ে উঠেছে। কিন্তু সবই সার্টিফিকেট সর্বস্ব। রবীন্দ্রনাথের ভাষায় বলতে হয়- “শিক্ষাকে কেবল বহন করিয়াই চলিলাম, বাহন করিতে পারিলাম না।” তাই অপেক্ষা না করে আমরা ছাত্রদের এমন গুণগত মান সম্পন্ন শিক্ষা প্রদান করতে চাই, যে শিক্ষাকে বাহন করে “আদর্শ শিশু বিকাশ কেন্দ্রের ছাত্র / ছাত্রীরা আধুনিক শিক্ষিত সমাজে প্রথম সারিতে নিজেদের স্থান করে নেবে।

তাই প্রতিটি শিশুকে দেখাতে হবে স্বপ্ন, জাগাতে হবে আত্মবিশ্বাস, বোঝাতে হবে সাফল্যের চাবি নিরলস পরিশ্রম। আমরা নিরলস পরিশ্রম করে চলেছি। একটি শিশুকে তার শৈশব থেকে আদর্শ মানুষ হওয়ার শিক্ষা প্রদান করলেই সেই শিক্ষা তার অন্তরে খোদাই হয়ে যায়। সে শিক্ষা মানবিক মূল্যবোধের জন্ম দেয়। তাই বর্তমান জীবনের সাথে সাম্যতা বজায় রেখে সামগ্রিক শিক্ষার জন্য আমরা নির্মাণ করেছি আমাদের স্বপ্নতরী “হাতিশালা আদর্শ শিশু বিকাশ কেন্দ্র”।

শিক্ষা প্রদানের জন্য আমরা ছাত্রদের কাছে অতন্দ্র প্রহরী। অভিভাবক / অভিভাবিকাদের কাছে আমরা দায়বদ্ধ। এই কারণে যে, আমাদের জাতিকে, দেশকে, ভবিষ্যৎকে আমাদের কোলের সন্তানদের দ্বারা সুনিশ্চিত স্থিরতা দান করতে হবে। শিক্ষার বিকল্প নেই, তাই এই বিদ্যালয়ের উদ্দেশ্য আগামীকে স্বপ্ন থেকে বাস্তবের মুখোমুখি দাঁড় করানো এবং এই সংগ্রামে প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের নিরলস পরিশ্রমের পাশাপাশি আমাদের সকলকে সমস্ত বিষয়ে সাহায্যকারী, ধৈর্য্যশীল ও যত্নবান হতে হবে। এ কাজে আনজাম দেওয়ার জন্য আমাদের পাশে আছেন উপদেষ্টা মণ্ডলী, শিক্ষানুরাগী, সমাজসেবী ব্যক্তিবর্গ ও পরিচালক মণ্ডলীসহ অভিজ্ঞ শিক্ষা ও শিক্ষাকর্মীগণ। আর আমরা আছি ভালবাসার আঁচলের ছায়া তলে রেখে প্রতিটি সন্তানকে শ্রদ্ধাপরায়ণ এ সুনাগরিক গড়ে তুলতে।